শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্জ্বলন শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিহত তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা লালমনিরহাটে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি’র চেক হস্তান্তর
দেখার কেউ নেই; নিজেরাই করছে রাস্তা নির্মাণ

দেখার কেউ নেই; নিজেরাই করছে রাস্তা নির্মাণ

আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার ২নং কুলাঘাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড চর খাটামারীতে চলাচলের রাস্তাটি ভেঙে গেছে ১০-১২বছর পূর্বে। এলাকাবাসী নিজেরাই করছেন রাস্তা নির্মাণ।ভোর রাতে শুরু হওয়া কাজ চলে দুপুর পর্যন্ত। দুপুরের পরে হাত দেয় তারা পারিবারিক অন্যান্য কাজে।

 

তাদের কাছে জানা যায়, একটা সময় পাশের ধরলা নদীর পানি চরখাটামারী মামা-ভাগিনা বাজারের একটু পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত হত। পলি জমে এখন উচু জমিতে পরিণত হয়েছে।কয়েকশত একর চাষের জমি রয়েছে দুই এলাকার প্রায় ১শত ৫০পরিবারের।

 

এখন নদী নেই। তবে বর্ষাকালে নদী আর বন্যার পানিতে টইটুম্বুর। চলাচলের উপায় থাকেনা। প্রায় এক কিলোমিটারের চেয়েও লম্বা রাস্তাটি ভেঙে গেছে বছর দশেক আগে।

 

কয়েকবার এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোন কাজ হয়নি।নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী নিজেরাই, নিজেদের রাস্তা নির্মাণে হাত দিয়েছে ৫দিন হলো। সময় লাগবে আরও বেশ কিছুদিন।

 

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় চরখাটামারীর নুরনবী, দুলাল, রব্বানী ও দুলু মিয়ার সাথে।তারা বলেন, আমরা দুর্ভাগা এলাকার মানুষ। মেম্বার-চেয়াম্যানের সাথে অনেক বার কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, হাতে কাজ নেই। কাজ আসলে করে দেয়া হবে। ওনারা নজর না দেয়ার কারণে, এলাকার লোকজনসহ কাজে হাত দিয়েছি।

 

মফিজুল ইসলাম বলেন, হামরা কি মানুষ নোয়াই। একটু যদি দয়া করি দেখি গেলো হয়। হামার রাস্তাটা করি দিলে হয়।

 

স্বেচ্ছায় মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই এলাকার জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বার বছর হয় এ সমস্যার ভুক্তভোগী। ভাঙ্গা রাস্তার পশ্চিম পাশে চরখাটামারী মামা-ভাগিনা বাজার, চরখাটামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরখাটামারী নুরানী তালিমু্ল কুরআন ও হাফেজিয়া মাদরাসা রয়েছে পূর্বে রয়েছে আরও একটি মাদরাসা, আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজে লেখাপড়া করে তাদের যেতে অনেক কষ্ট করতে হয়। আবার কেউ যদি অসুস্থ্য হয়ে পরে তাহলে সাইকেলে করে বাজারের অটোস্ট্যান্ডে যেতে হয়। হাট-বাজারে যেতে একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

কুলাঘাট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোলায়মান আলী বলেন, আমাকে তারা মৌখিক ভাবে জানিয়েছে। তাদেরকে সময় দিয়েছি। ৪০দিনের কর্মসূচির মাধ্যমে কাজ করে দিবো। ৪০দিনের কর্মসূচির শ্রমিকরা অন্য জায়গায় কাজ করছে।কাজ হলে এখানে কাজ করাবো।

 

কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বলেন, এলাকাবাসী নিজেরা কাজ করছে, এটা জানা নেই। স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ কেনো! আমার শ্রমিক আছে। এলাকাবাসী আমাকে জানালে কাজ করে দিবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone